কিভাবে দ্রুত চুল লম্বা করবো ? ৭ দিনে চুল লম্বা করা ঘরোয়া উপায়।
সুন্দর ও লম্বা চুল পেটে কে না চায়, আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যবস্থাতায় সঠিক যত্নের অভাবে চুল বৃদ্ধি অনেক সময় ধীর হয়ে যায়। চুল লম্বা করা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন, বিশেষ করে অনেকের দ্রুত ফলাফল দেখতে চান। চিন্তার কিছু নেই, আপনি প্রাকৃতিক নানা উপাদান ব্যবহার করে খুব সহজেই চুল দ্রুত বৃদ্ধি ঘটাতে পারবেন।
আপনাকে মাত্র ৭ দিনের চুল লম্বা করার জন্য সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলেই হবে।নিয়মিত যত্ন, প্রাকৃতিক তেল, এবং কিছু সাধারণ ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে আপনি চুলের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করতে পারবে এবং একই সাথে চুল দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারবে।আজকে এই পোস্টে আলোচনা করব কিভাবে ৭ দিনের মধ্যে চুল লম্বা করার সহজ এবং কার্যকরী ঘরোয়া উপায়গুলো সম্পর্কে এবং কিভাবে কাজে লাগানো যায় তা সম্পর্কে।পোস্টসূচিপত্রঃকিভাবে দ্রুত চুল লম্বা করবো ? ৭ দিনে চুল লম্বা করা ঘরোয়া উপায়।
৭ দিনে দ্রুত চুল লম্বা করার সেরা ঘরোয়া উপায়
সুস্থ ঘন চুল আমাদের সৌন্দর্যের অন্যতম প্রতীক। সুস্থ ,ঘন ও লম্বা চুল আমাদের সৌন্দর্যকে সবার সামনে ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলে। কিন্তু অনেকেই চুলের বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত থাকেন। তাই চুল দ্রুত লম্বা করার জন্য ঘরোয়া পদ্ধতি খুবই কার্যকরী হতে পারে আপনার জন্য, কারণ এতে কোন কেমিক্যাল এ ঝুঁকি নেই এবং প্রাকৃতিক ভাবে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।
চুলের যত্নের জন্য কিছু সহজ ও প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি চুলের স্বাস্থ্য এবং বৃদ্ধি উভয় বাড়াতে পারবেন। নিচে কয়েকটি সেরা ঘরোয়া উপায় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হলো যা আপনার চুল দ্রুত লম্বা করতে সাহায্য করবে।
১. নারিকেল তেল মাসাজঃ নারিকেল তেল চুলের বৃদ্ধি তরম্বিত করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক ফ্যাটি এসিড, যা আমাদের মাথার স্ক্যাল্পে মাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বেধে পায় এবং চুলের ফলিকলগুলো শক্তিশালী হয়। প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার আপনার মাথার স্ক্যাল্পে উষ্ণ নারিকেল তেল মাসাজ করুন। এতে আপনার চুল স্বাস্থ্যকর হবে এবং চুল বৃদ্ধি ভালো হবে।
২. পেঁয়াজের রসঃ পেঁয়াজের রসে রয়েছে সালফার, যা চুলের ফলিকলগুলোকে পুনর্জীবিত করে এবং দ্রুত চুল লম্বা করতে সাহায্য করে। সপ্তাহের ১ থেকে ২ বার পেঁয়াজের রস নিয়মিত স্কেলপে লাগিয়ে 15 থেকে 20 মিনিট রেখে তারপর ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। এটি আপনার চুলকে ঘন ও লম্বা করবে এবং বেবি চুল গজাতে সাহায্য করবে।
৩. অ্যালোভেরা জেলঃ অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে এবং চুলের বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। অ্যালোভেরা জেল নিয়মিত চুলে ব্যবহার করুন। অ্যালোভেরা জেল স্কাল্পে নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের শুষ্কতা দূর হবে এবং চুল মজবুত ও লম্বা হবে।
৪. ডিমের মাস্কঃ ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন এবং ওটিন বায়োটিন, চুলের গঠন মজবুত করে এবং চুলের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটাতে সহায়তা করে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার ডিমের মাস্ক ব্যবহার করুন। এতে আপনার চুল ঘন ও স্বাস্থ্যকর হবে।
৫. মেথি দানাঃ মেথি দানা প্রাকৃতিকভাবে চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এক মুঠো মেথি দানা ভিজিয়ে রেখে তা পেস্ট তৈরি করে সপ্তাহে ১ থেকে ২ আপনার লাগান। এটি আপনার চুলের গোড়া মজবুত করেবে এবং দ্রুত চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে।
চুল লম্বা করতে নারকেল তেলের ভূমিকা
নারিকেল তেল চুলের যত্নে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে এবং এটি চুল দ্রুত লম্বা করার অত্যন্ত কার্যকরী একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এতে রয়েছে লরিক অ্যাসিড, ফ্যাটিক এসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলের গোড়ায় পুষ্টি জগাই এবং চুলের বৃদ্ধির হার দ্রুত করে। চুলের রুক্ষতা কমিয়ে স্ক্যাল্পে পর্যাপ্ত পুষ্টি যোগাতে নারিকেল তেলের তুলনা নেই।
নারিকেল তেল স্ক্যাল্পে মাসাজ করার মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যার চুলের ফালিকুলগুলো সক্রিয় করে। আপনি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার উষ্ণ নারিকেল তেল ব্যবহার করলে আপনার চুলের রুক্ষতা দূর হবে, চুল গুড়া থেকে মজবুত হবে এবং দ্রুত লম্বা হবে।
আপনি চাইলে নারিকেল তেলে কিছু আমলকি মিশিয়ে নিতে পারেন, যা চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে আরো বেশি কার্যকরী হবে এবং আপনার চুল দ্রুত লম্বা হবে।
নারিকেল তেলের বিশেষ গুনাগুনঃ
- এটি চুলের ফলিকল গুলোকে মজবুত করে।
- রুক্ষ এবং শুষ্ক চুলের যত্ন উপকারি।
- স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে চুলের বৃদ্ধির দ্রুত করে।
- পড়া কমায় এবং চুলকে স্বাস্থ্যকর রাখে।
কেন নারকেল তেল চুলের জন্য উপকারী?
নারিকেল তেলের লরেক অ্যাসিড আমাদের চুলের কিউটিকলে প্রবেশ করে চুলের গভীরে পুষ্টি সরবরাহ করে। এছাড়া নারিকেল তেল আমাদের চুলের প্রোটিন ধরে রাখে, যা চুলকে মজবুত গঠন দিতে সাহায্য করে। মৃত নারিকেল তেল ব্যবহারে আমাদের চুল ঘন ও স্বাস্থ্যকর হবে এবং চুলের প্রাকৃতিক বৃদ্ধি তরান্বিত হবে।
পেঁয়াজের রস: চুলের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য ম্যাজিক উপাদান
চুলের দ্রুত বৃদ্ধি ও মজবুরদের জন্য পেঁয়াজের রস আমাদের জন্য প্রাকৃতিকভাবে কার্যকর একটি সমাধান। এতে রয়েছে সালফার, যা চুলের ফলিকলগুলোর কার্যকর ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং আমাদের মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এটি আমাদের চুলের গোড়ার শক্তিশালী করে, চুল পড়া কমায় এবং দ্রুত চুল লম্বা করতে সাহায্য করে।
আপনি যদি পেঁয়াজের রস নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চুল দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে।পেঁয়াজের রসে থাকা সালফার আমাদের চুলের কোলাজের উৎপাদনের সহায়তা করে। যা চুলের বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
এটি আমাদের চুলের স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে আমাদের চুলের ফলিকল গুলোকে সক্রিয় করে, এর ফলে চুল পড়া কমে এবং নতুন বেবি চুল দ্রুত গজাতে শুরু করে।
পেঁয়াজের রস ব্যবহারের পদ্ধতি:
প্রথমে একটি মাঝারি আকারের পেঁয়াজ কেটে রস বের করে নিন। এরপর পেঁয়াজের রসটি মাথার স্ক্যাল্পে ভালোভাবে মাসাজ করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর একটি মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে মাথাটি ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতিতে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এটি ব্যবহার করুন, এর ফলে আপনার চুল পড়া কমবে, চুল দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন বেবি চুল গজাবে।
পেঁয়াজের রসের বিশেষ উপকারিতাঃ
- এটি চুল পড়া রোধ করে।
- চুলের গোড়া শক্তিশালী করে।
- চুলের স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।
- নতুন বেবি চুল গজাতে সাহায্য করে।
- দ্রুত চুল লম্বা করে।
কেন পেঁয়াজের রস চুলের জন্য ম্যাজিক উপাদান?
পেঁয়াজের রসের সালফার আমাদের চুলের ভাঙ্গন রোধ করে এবং চুলের কোলাজেন তৈরি করে, (কোলা জেন) যা আমাদের চুলকে দ্রুত বৃদ্ধি জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া পেয়াজের রসে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল থাকায় এটি আমাদের চুলের স্ক্যাল্পে এর যে কোন ইনফেকশন দূর করে।
যা আমাদের চুলকে স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে। আপনি যদি নিয়মিত পেঁয়াজের রস চুলে ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার চুল প্রাকৃতিকভাবে দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
দ্রুত চুল লম্বা করতে কিভাবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করবেন?
অ্যালোভেরা চুলের যত্নে অত্যন্ত কার্যকরী সেরা প্রাকৃতিক উপাদান। আমাদের চুলের শুষ্কতা দূর করে, চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল দ্রুত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে চুলের আদ্রতা বজায় থাকে এবং আমাদের চুল পড়ার সমস্যা কমে যায়।
অ্যালোভেরাতে প্রাকৃতিক উপাদান গুলো চুলের ফলিকলগুলোকে পুনর্জীবিত করে, যা আমাদের চুলকে দ্রুত লম্বা করতে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরা ব্যবহারের পদ্ধতিঃ
১. সরাসরি অ্যালোভেরা জেল লাগানো:
- একটি টাটকা অ্যালোভেরা পাতা কেটে তার থেকে তেল বের করে নিন।
- এটি আপনার মাথার স্ক্যাল্পে এবং চুলের গোড়ায় ভালোভাবে মাসাজ করুন।
- জেলটি মাথাই ৩০ মিনিট রেখে দিন এবং তারপর মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এটি যদি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার আপনি চুলে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চুল দ্রুত লম্বা হবে এবং চুল পুষ্টিকর হবে।
২.অ্যালোভেরা ও নারিকেল তেলের মিশ্রণ:
- দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল এবং দুই টেবিল চামচ নারিকেল তেল মিশিয়ে নিন।
- এই মিশ্রণটি আপনার মাথার স্কাল্পে এবং চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
- এরপর মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- এ মিশ্রণ আপনার চুলের গোড়া মজবুত করবে এবং চুলকে দ্রুত বৃদ্ধি করবে।
৩.অ্যালোভেরা ও পেঁয়াজের রস:
- দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল এবং এক টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস একসাথে মিশিয়ে নিন।
- এই মিশ্রণটি আপনার মাথার স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে দিন।
- এরপর মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- এটি আপনার চুল দ্রুত বৃদ্ধি ঘটাবে এবং সেই সাথে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
অ্যালোভেরা উপকারিতাঃ
- এটি আমাদের চুলের আদ্রতা ধরে রাখে।
- আমাদের চুল পড়া কমায় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
- এটি মাথার স্ক্যাল্পে পুষ্টি সরবরাহ করে।
- আমাদের চুলের শুষ্কতা এবং রুক্ষতা দূর করে।
- আমাদের চুলের গোড়া মজবুত করে দ্রুত লম্বা হতে সাহায্য করে।
কেন অ্যালোভেরা চুলের জন্য কার্যকর?
অ্যালোভেরা জেলে উপস্থিত প্রাকৃতিক এনজাইম আমাদের চুলের ড্যামেজ দূর করে এবং ফুলের ফলিকলগুলো সক্রিয় রাখে। এটি আমাদের চুলেকে প্রাকৃতিক বৃদ্ধিতে ত্বরান্বিত করে এবং চুলের শুষ্কতা দূর করে। অ্যালোভেরা জেল আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত চুল পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।
আপনি যদি নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করেন তাহলে, এটি আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে এবং চুলকে মসৃণ ও চকচকে করবে।
ডিমের মাস্ক, চুলের স্বাস্থ্য ও বৃদ্ধি তরম্বিত করার প্রাকৃতিক সমাধান।
চুলের দ্রুত বৃদ্ধির এবং ফুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ডিমের মাস্ক একটি প্রাচীন ও কার্যকরী ঘরোয়া উপায়। ডিমে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, বায়োটিন এবং ভিটামি্ যা চুলের গোরাত কে মজবুত করে চুল পড়া কমায়, এবং চুলের বৃদ্ধি তরম্বিত করে। চুলের চুলের রক্ষতা, শুষ্কতা এবং ড্যামেজ দূর করতে ডিমের মাস্ক অত্যন্ত উপকারী একটি ঘরোয়া উপায়।
ডিমের মাস্ক প্রাকৃতিক উপায়ে চুলকে পুনরুজ্জীবিত করে এবং চুলের মসৃণতা বৃদ্ধি করে। নিচে ডিমের মাস্ক এর ব্যবহার পদ্ধতি ও উপকারিতা নিয়ে আপনাদের সাথে কিছু আলোচনা করা যায়।
ডিমের মাস্ক তৈরি ও ব্যবহারের পদ্ধতিঃ
- একটি ডিম ভেঙে তার মধ্যে দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেল মিশিয়ে নিন।
- এরপর মিশ্রণটি মাথার স্ক্যাল্পে ও চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিন।
- এরপর ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে দিন।
- মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলে আপনার চুলে দ্রুত বৃদ্ধি হবে এবং আপনার চুল আরও স্বাস্থ্যকর হবে।
- এটি চুলের গোড়া মজবুত করে।
- চুলের রুক্ষতা ও শুষ্কতা দূর করে।
- চুলের বৃদ্ধির হার বাড়িয়ে তোলে।
- চুল পড়া রোধ করে।
- এটি আমাদের চুলকে মসৃণ ও চকচকে করে।
চুল দ্রুত বৃদ্ধ করতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস
আপনি যদি আপনার চুলকে দ্রুত বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে চান তাহলে শুধুমাত্র ব্যবহারিক যত্নয় নয়, সঠিক খাদ্যাভাস ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পোস্টটি সমৃদ্ধ খাবার চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলের ফলিকলগুলোকে সক্রিয় করে।
যা চুলের বৃদ্ধি তরামত করতে সহায়তা করে। আপনি যদি সঠিক খাদ্যাভাস মেনে চলেন তাহলে আপনার চুল দ্রুত বৃদ্ধি হবে এবং চুল পড়ে যাওয়া প্রবণতা ও কমে আসবে।
চুল দ্রুত বৃদ্ধি করতে পুষ্টিকর খাদ্য তালিকাঃ
১. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারঃ
- আমাদের চুলের গঠন মূলত প্রোটিন দিয়ে তৈরি। তাই ডিম, মাছ, মাংস, বাদাম এবং মসুরের ডালের মত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রোটিন চুলের ফলিকলকে পুষ্টি দেয় এবং চুলের ভঙ্গরতা কমায়, যা আমাদের চুলের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
২. বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবারঃ
- বায়োটিন আমাদের চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে। বাদাম, ের কুসুম এবং মাশরুমের মধ্যে প্রচুর বায়োটিন পাওয়া যায়। আপনি নিয়মিত বায়োটিন যুক্ত খাবার খেলে আপনার চুল দ্রুত বৃদ্ধি হবে।
৩. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডঃ
- ওমেগা-৩ ফ্যাটি চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। সামুদ্রিক মাছ, যেমনঃ স্যামন সার্ডিন, এবং তিসি বীজে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চলন বারিয়ে চুলের ফলিকুলকে সক্রিয় করে এবং আমাদের মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। আপনি নিয়মিত ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার খেলে আপনার চুলের ফলিকল গুলো সক্রিয় হবে এবং আপনার মাথায় নতুন চুল গজাবে।
৪. আয়রন ও জিংক সমৃদ্ধ খাবারঃ
- আয়রন এবং যে আমাদের চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলের বৃদ্ধির হার বাড়ায়। পালং শাক, ব্রকলি ,লাল মাংস এবং ডালে আয়রন ও জিংক প্রচুর পরিমাণে আছে। আয়রনের অভাব হলে চুলের বৃদ্ধি গতি কমে যায়। তাই চুল দ্রুত বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত আয়রন ওজিন সমৃদ্ধ খাবার খাবেন।
৫. ভিটামিন সি ও ই সমৃদ্ধ খাবারঃ
- ভিটামিন সি ও ই আমাদের চুলের বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত জরুরী। কমলালেবু, লেবু, বেরি এবং বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও এ রয়েছে। যা স্ক্যাল্পে কোলাজেন তৈরি করে এবং চুলকে দ্রুত বৃদ্ধি করে। তাই চুল দ্রুত বৃদ্ধি করার জন্য ভিটামিন সি ও এস সমৃদ্ধ খাবারগুলো খাবেন।
- চুল দ্রুত বৃদ্ধি করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করবে। কারণ চুলের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পানি চুলের আদ্রতা বজায় রাখে এবং স্ক্যাল্পের শুষ্কতা রক্ষা করে, যা চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে। প্রতিদিন অন্তত.৮ থেকে.১০ গ্লাস পানি পান করবেন। এতে আপনার চুল স্বাস্থ্যকর থাকবে এবং দ্রুত বৃদ্ধি হবে।
দ্রুত চুল লম্বা করতে ভিটামিন ই এর প্রয়োজনীয়তা ও ব্যবহারের নিয়ম
আমাদের চুলের দ্রুত বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ভিটামিন-ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী। ভিটামিন ই চুলের স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুলের ফলিকলগুলোকে পুষ্টি দেয়, যা আমাদের চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। এটি চুলের শুষ্কতা দূর করে, চুলের আদ্রতা বজায় রাখে এবং চুলকে মসৃণ শক্তিশালী করে তোলে।
ভিটামিন ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি আমাদের চুলের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো পুনরুদ্ধার করে এবং চুলের বৃদ্ধির হার বাড়ায়। চলুন ভিটামিন ই আপনার চুলে কিভাবে ব্যবহার করবেন সে বিষয়ে নিচে আলোচনা করি।
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ তেল তুলে ব্যবহারের পদ্ধতিঃ
- ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেল যেমন (অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেল) সরাসরি তুলে মাসাজ করুন।
- ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে দিন।
- এরপর মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন।
Morning Li8 এ আপনার মূল্যবান কমেন্ট করুন। ইনশাআল্লাহ আমরা প্রত্যেকটি কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবো।
comment url